বর্তমানে জনপ্রিয় পেমেন্ট সার্ভিসগুলোর মাঝে একটি হলো পেপাল। পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই এটি স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা গেলেও বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে রয়েছে সীমাবদ্ধতা। বৈধভাবে বাংলাদেশে Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আজ আমরা আপনাদের জানাবো।
১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ম্যাক্স লেভকিন, পিটার থিল ও লিউক নোসেক নামক ৩ ব্যক্তি ‘কনফিনিটি’ নামক একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। তখনকার সময়ে এটি কেবল মাত্র একটি ডিজিটাল বা আধুনিক ওয়ালেট হিসেবে ব্যবহার করা হতো। পরবর্তীতে এই কোম্পানিটিই Paypal নাম ধারণ করে।
১৯৯৯ সালে পেপালে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়। আন্তর্জাতিক লেনদেনে বহু ধরনের সুবিধার কারণে খুব দ্রুতই সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয় পেপাল। অধিকাংশ দেশেই Paypal স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যায়। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে এখনো এই পেমেন্ট সিস্টেমটির সকল সুযোগ- সুবিধা পাওয়া যায় না।
তাই অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশে বৈধভাবে Paypal একাউন্ট খোলা যায় না। এতে করে অনেকে ভুয়া তথ্য প্রদান সহ নানা ধরনের অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করার চেষ্টা করেন। আজ বৈধভাবে বাংলাদেশে Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন।
লেখার সূচিপত্র
বৈধভাবে বাংলাদেশে Paypal ব্যবহার করা যায়?
প্রায়ই একটা কথা অনলাইনে কিংবা অফলাইনে বলতে শোনা যায়, বাংলাদেশে নাকি বৈধ উপায়ে Paypal একাউন্ট খোলা যায় না। আবার, যাঁরা পেপালের ওয়েবসাইটে কখনো ঢুঁ মেরে দেখেছেন, তাঁরাও নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, পার্সোনাল একাউন্ট খোলার সময় ‘Bangladesh’ অপশনটি খুঁজে পাওয়া যায় না।
প্রকৃতপক্ষে, পেপালে পার্সোনাল একাউন্ট খোলার সময় আবশ্যিকভাবে ভেরিফিকেশান সহ মোবাইল নম্বর ব্যবহার করার দরকার হয়। আর বাংলাদেশের মোবাইল নম্বর পেপালে সাপোর্ট করে না। কিন্তু, বিজিনেস একাউন্ট তৈরির সময় মোবাইল নম্বরের বিষয়টা আবিশ্যকভাবে গুরুত্ব পায় না। তাই বাংলাদেশ থেকেও এই ধরনের একাউন্ট করা যায়। ‘Business’ অপশন ব্যবহার করে বাংলাদেশে Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম আমরা বিস্তারিত বর্ণনা করার চেষ্টা করবো। তাই স্কিপ না করে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
বাংলাদেশে Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনি যেহেতু Paypal একাউন্ট তৈরি করবেন, সেহেতু প্রথমেই পেপালের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এই লিংকে ক্লিক করলে আপনি পেপালের মূল ওয়েবসাইটে চলে যাবেন। সেখানে আপনারা একাউন্ট খোলার জন্য দুইটি অপশন দেখতে পাবেন। একটি হলো পেপাল পার্সোনাল একাউন্ট, অন্যটি পেপাল বিজিনেস একাউন্ট খোলার অপশন।

ধাপ ১: রেজিস্ট্রেশন ইন্টারফেস
যেহেতু পেপালের পার্সোনাল একাউন্ট বাংলাদেশ থেকে খোলা যায় না, তাই আপনি ‘Business Account’ অপশনটিতে ক্লিক করবেন। তারপর আপনার সামনে একটি রেজিস্ট্রেশন ইন্টারফেস চলে আসবে। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য তথ্য ফরম দেয়া হবে আপনাকে।
আপনি দেখতে পাবেন ‘Enter your Email address’। আপনি যে ইমেইল আইডি ব্যবহার করে পেপাল একাউন্ট খুলতে চান, সেটি এখানে প্রদান করবেন এবং সাইন আপ করবেন। তবে সেই ইমেইল আইডিতে আপনার পরিপূর্ণ একসেস ও নিরাপত্তা অবশ্যই নিশ্চিত করে নিবেন।

তারপর আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে বলা হবে। এখানে আপনি একটি শক্তপোক্ত পাসওয়ার্ড সেট করবেন। পাসওয়ার্ড কোনোভাবেই গুগলে সেইভ করবেন না, সহজ ও সাধারণ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। কারণ, পেপালে আপনার অর্থ চুরির জন্য আন্তর্জাতিক হ্যাকাররা ওঁত পেতে বসে আছে। কাজেই, সাইবার নিরাপত্তার সাধারণ নিয়ম অবশ্যই মেনে চলবেন।

ধাপ ২: বিজিনেস কনটাক্ট ও ডিটেইলস
পাসওয়ার্ড সাবমিট করার পর আপনার বিজিনেস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। প্রথমেই ‘Business Contact’ জানতে চাওয়া হবে। আপনি আপনার সঠিক নাম অর্থাৎ সার্টিফিকেট / আইডি কার্ড অনুযায়ী লিগ্যাল নামটিই প্রদান করবেন। First Name জানতে চাওয়া হবে, Last Name জানতে চাওয়া হবে। এখানে যথাক্রমে আপনার নামের প্রথম অংশ ও শেষ অংশ- দুই ভাগে ভাগ করে নিয়ে তথ্য প্রদান করবেন।
তারপর আপনাকে Business Details প্রদান করতে হবে। আপনার যদি কোনো ওয়েবসাইট বা অনলাইন প্ল্যাটফরম কিংবা অনলাইন / অফলাইন কোনো ব্যবসা থাকে, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসার নাম ব্যবহার করবেন। সেই নাম ব্যবহার করে দুই থেকে তিন লাইন বর্ণনা করবেন সেই প্রতিষ্ঠান / ব্যবসা / ওয়েবসাইট সম্পর্কে। এটিই আপনার বিজিনেস ডিটেইলস। আর আপনার এমন ব্যবসা / ওয়েবসাইট না থাকলে, আপনি নিজের স্বাভাবিক কর্মজগত নিয়ে কয়েক লাইন বর্ণনা করে দিতে পারেন বিজিনেস ডিটেইলস হিসেবে।

তারপর আপনি বিজিনেস ফোন নম্বর প্রদান করার অপশন দেখতে পাবেন। এখানে নিজের সঠিক ফোন নম্বরটি দিবেন। এখানে যেহেতু পার্সোনাল পেপাল একাউন্টের মতো ড্রপ- আউট মেন্যু নেই, তাই বাংলাদেশ সহ যেকোনো দেশের নম্বর ব্যবহার করা যায়। তবে আপনি এমন নম্বর ব্যবহার করবেন, যেটায় আপনার একসেস রয়েছে। নম্বরটি অবশ্যই আন্তর্জাতিক ফরম্যাটে লিখবেন। আন্তর্জাতিক ফরম্যাট সম্পর্কে ধারণা নেই? চিন্তা করবেন না। আমরা বলে দিচ্ছি। +8801******** এই ফরম্যাটে নম্বর লেখাকেই আন্তর্জাতিক ফরম্যাট বলা হয়। বিষয়টা খুবই সহজ। তাই নয় কি?
তারপর আপনি Business Address দেয়ার অপশন দেখতে পাবেন। এখানে ঠিকানা লেখার জন্য দুইটি ব্ল্যাঙ্ক লাইন দেওয়া আছে। এখানে আপনার পুরো ঠিকানাটি লিখবেন। প্রথম লাইনে বাড়ি বা হোল্ডিং নম্বর, রাস্তার নাম, ওয়ার্ড বা গ্রামের নাম, ইউনিয়ন, ডাকঘর, থানা ইত্যাদি তথ্য দিতে পারেন। দ্বিতীয় লাইনে শহরের নাম, রাজ্যের নাম, দেশের নাম ইত্যাদি তথ্য লিখতে পারেন।
তারপর আপনি আলাদা করে আবার শহরের নাম লিখতে হবে ‘City’ অপশনটিতে। তারপর প্রোভিন্স সিলেক্ট করতে হবে। এখানে বাংলাদেশকে খুঁজে না পেলে অন্য একটি অপশন সিলেক্ট করে দিবেন। তারপর পোস্টাল কোড অপশনে আপনার নিকটস্থ ডাকঘরের পোস্ট কোড প্রদান করবেন।
এগুলোর পূরণ করার পর পেপাল এর টার্মস এন্ড কন্ডিশানগুলো মেনে নিয়েছেন- এমনটি নিশ্চিত করতে ‘Terms and Conditions’ এর বাম পাশে টিক চিহ্ন দিবেন। আপনি চাইলে পুরো টার্মস এন্ড কন্ডিশানটি পড়তে পারেন। এতে করে আপনি Paypal ব্যবহারের সময় কোনো নিয়ম ভঙ্গ করছেন কিনা, সহজেই বুঝতে পারবেন। সময় থাকলে পড়ে নিবেন। না জানার কারণে অনেকের Paypal একাউন্ট রেস্ট্রিক্ট বা ব্লক হয়ে যায়।
ধাপ ৩: Describe your business
এসব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনি ‘Describe your business’ নামে আরেকটি তথ্য ফরম দেখতে পাবেন। এখানে ‘Business type’ হিসেবে ‘Individual’ সিলেক্ট করবেন। প্রডাক্ট/ সার্ভিস কীওয়ার্ড নামক ঘরটিতে দিতে পারেন ‘Business Service’। ‘What is your normal sale’ নামের ফাঁকা ঘরটিতে আপনি মিনিমাম ভ্যালু সিলেক্ট করবেন। কারণ, আপনি যেহেতু ‘ইনডিভিজুয়াল’ বা ব্যক্তিগত বিজিনেস টাইপ সিলেক্ট করেছেন, তাই সেল ভ্যালু অপশনে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে সবচেয়ে ছোট এমাউন্ট সিলেক্ট করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
তারপর আপনার বিজিনেস কবে শুরু হয়েছিলো, সে ব্যাপারে একটা তারিখ দিতে বলবে। আপনার বিজিনেস না থাকলে, এই ঘরটিতে ইচ্ছে মতো একটা তারিখ বসালেই হবে। তারপর ওয়েবসাইট লিংক দেয়ার ঘর দেখতে পাবেন। এটি অপশনাল। এই ঘরটি পূরণ না করলেও কিছু আসে যায় না। তারপর ‘Submit’ বাটনে ক্লিক করবেন।
ধাপ ৪: Tell us more about you
‘Tell us more about you’ শিরোনামে আরো একটি তথ্য ফরম দেখতে পাবেন। এখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলো জানতে চাওয়া হবে। প্রথমেই আপনার সঠিক জন্ম তারিখটি প্রদান করবেন। তারপর ‘What is your occupation’ এখানে ‘Business’ সিলেক্ট করতে পারেন, অথবা প্রাসঙ্গিক অন্য যেকোনোটা সিলেক্ট করতে পারেন। তারপর হোম অ্যাডরেস সংক্রান্ত তথ্য দিতে বলা হবে। এখানে আপনি ‘Same as Business’ অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে বাড়ির ঠিকানা হিসেবে আলাদা ঠিকানা বা তথ্য এখানে দিতে পারেন।
এসব ধাপ সঠিকভাবে পার করে আসলে, আপনি দেখতে পাবেন- আপনার Paypal বিজিনেস একাউন্টটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। আপনি Paypal একাউন্টের ড্যাশবোর্ডটি সামনে দেখতে পাবেন। আপনার ব্যালেন্স, কাউকে টাকা পাঠানোর অপশন, একাউন্টে টাকা যোগ করার অপশন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সব সুবিধা পাবেন ড্যাশবোর্ডে।
Paypal বিজিনেস একাউন্ট ভেরিফাই
উপরের ধাপগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশে Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম দেখিয়েছি আপনাদের। তবে বিজিনেস একাউন্টটি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে একটা ভেরিফিকেশান প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কেউ যেন ভুয়া তথ্য কিংবা ফেইক প্রোফাইল ব্যবহার করে কোনো অপরাধ করতে না পারে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।
আপনার ফোন নম্বরটি ভেরিফাই করে নিবেন। টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশান বা দুই ধাপে যাচাইকরণ সেটাপ করে নিবেন। এতে করে আপনার একাউন্টে লগ ইন করার সময় পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পাশাপাশি ওটিপি বা ওয়ান টাইম পিন কোড ব্যবহার করতে হবে। ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে। আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র / পাসপোর্ট / জন্ম সনদ / ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি যেকোনো একটির ছবি আপলোডের মাধ্যমে আইডি ভেরিফিকেশান করতে হবে।
এছাড়া আপনার সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য জানতে চাওয়া হতে পারে। সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করবেন। আপনি চাইলে আপনার ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড যুক্ত করতে পারেন পেপাল একাউন্টে। এতে করে আপনি কার্ড টু পেপাল বা পেপাল টু কার্ড সহজেই লেনদেন করতে পারবেন। চাইলে আপনি ব্যাংক একাউন্টও যোগ করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্টটি বিজিনেস একাউন্ট হওয়া প্রয়োজন। আমি ব্যক্তিগতভাবে ইসলামি ব্যাংক ব্যবহার করি। এতে করে ইসলামি ব্যাংকের সেলফিন মোবাইল অ্যাপ থেকে ঘরে বসেই একাউন্টের সব লেনদেন, কার্ড ইত্যাদি সকল কাজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আপনি চাইলে ঘরে বসেই সেলফিন অ্যাপ ব্যবহার করে ইসলামি ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে পারবেন।
তবে ব্যাংক একাউন্টের তথ্য হোক কিংবা ব্যক্তিগত তথ্য, কোনো ক্ষেত্রেই ভুল তথ্য প্রদান করবেন না। কারণ, আজকের যুগে আপনার তথ্য ভেরিফাই করা পেপালের পক্ষে খুবই সহজ। প্রদত্ত ভুল তথ্যই হতে পারে আপনার Paypal বিজিনেস একাউন্ট রেস্ট্রিকশান বা ব্লক হওয়ার কারণ।
সেক্ষেত্রে আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স আপনি চিরতরে হারিয়ে ফেলতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে একাউন্ট করার কারণে Paypal বিজিনেস একাউন্ট রেস্ট্রিক্ট বা ব্যান করা হয় না। বরং প্রায়শই না বুঝে এমনকি ইচ্ছাকৃত ভুল বা ভুয়া তথ্য প্রদানের জন্যই পেপাল একাউন্ট ব্যান বা রেস্ট্রিক্ট করা হয়। তাই সবসময় সঠিক ও সত্য তথ্য প্রদান করবেন। তাতে একাউন্টের ঝুঁকি থাকবে না। paypal থেকে বিকাশে টাকা পাঠান এর উপায় লেখাটি পড়ে, টাকা উঠানোর নিয়ম জেনে রাখতে পারেন।
শেষ কথা
আজকের লেখা থেকে আপনারা বাংলাদেশে Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে পারলেন। আমাদের বর্ণনা করা নিয়ম পড়ে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে, আমরা কোনো ধরনের অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করিনি। বরং অফিশিয়াল সিস্টেমে Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম ব্যাখ্যা করেছি।
অনেকেই না জেনে ভুল উপায় অবলম্বনের চেষ্টা করেন। আবার, আমাদের দেশের হুজুগে লোকজনের কল্যাণে অনেকেই ভিপিএন, ভুয়া বিদেশী নম্বর ইত্যাদি বহু রকম উপায়ে পেপালে একাউন্ট করার চেষ্টা করেন। এগুলো করে সফল কতটুকু হওয়া যায়- সে ব্যাপারে বলতে পারছি না। তবে কেউ সফল হলেও, শেষ পর্যন্ত একাউন্ট ব্যানের মাধ্যমে যাত্রা শেষ করতে হয়। এতে করে Paypal একাউন্টে থাকা ব্যালেন্সও আর উইথড্র করা সম্ভব হয় না।
তাই এসব অনৈতিক উপায় অবলম্বন করবেন না। অফিশিয়াল সিস্টেম থাকতে অনৈতিক উপায় অনুসরণ করাটাই বোকামি। কিন্তু, Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে না জানার কারণেই বেশিরভাগ লোক উল্টো উপায় অবলম্বনের চেষ্টা করেন। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বৈধভাবে বাংলাদেশে Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম আমরা বলেছি। এটা জানতে পারার পর আপনি নিশ্চয়ই অনৈতিক উপায় অবলম্বন করতে যাবেন না।
প্রিয় পাঠক, আজ এ পর্যন্তই। ‘বৈধভাবে বাংলাদেশে Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম’ শিরোনামের প্রবন্ধটি আপনাদের আগামী পথচলায় সহযোগিতা করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এ আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন। কমেন্টে আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।
ইন্টারনেট ও টেকনোলজি সম্পর্কে আমাদের অন্যান্য পোস্ট পড়ুনঃ
গুগল মামার অফিস অ্যাপ্লিকেশন রিভিউ-2021