ফেসবুক বর্তমানে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত প্রতিটি মানুষের কাছেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সকলেই ফেসবুককে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে জানি। তবে বর্তমানে ফেসবুকে অনেকগুলো উপায়েই টাকা আয় করা যায়।
ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় সে উপায় গুলো সম্পর্কে আইডিয়া দেয়ার চেষ্টা করব।
লেখার সূচিপত্র
ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
১. ফেসবুকে রিল থেকে টাকা আয়
আমরা সকলেই জানি বর্তমানে ফেসবুকে নতুন একটি ফিচার যুক্ত হয়েছে, যা Facebook Reels নামে পরিচিত। ফেসবুকের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান – Meta তাদের অফিসিয়াল সাইটে ঘোষণা করেছে তারা ফেসবুকের রিল তৈরি কারীদের অর্থ প্রদান করবে।
ফেসবুকে যে রিল পাবলিশ করা হয় তার নিচে স্টিকার অ্যাড ব্যবহার করার মাধ্যমে এখান থেকে ইনকাম করা যায়। Meta তে বলা হয়েছে যেসব ক্রিয়েটরের ভিডিও দশ হাজার এর বেশি ভিউ পাবে তারা এখান থেকে স্টিকার এড ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবে।
ফেসবুক রিল থেকে ইনকাম কিভাবে হয়
• রিল ভিডিওতে বিজ্ঞাপন (Sticker Ads / Overlay Ads) দেখানো হয়
• ভিডিও যত বেশি ভিউ ও এনগেজমেন্ট পায়, আয় তত বাড়ে
• পেমেন্ট সরাসরি Meta থেকে প্রদান করা হয়
রিল থেকে টাকা আয় করতে যা যা দরকার
• Facebook Profile বা Page-এ Professional Mode চালু থাকতে হবে
• ভিডিও অবশ্যই নিজের তৈরি এবং কপিরাইট মুক্ত হতে হবে
• Vertical (9:16) ফরম্যাটের ভিডিও ব্যবহার করতে হবে
• ভিডিওর দৈর্ঘ্য সাধারণত ২০–৩০ সেকেন্ড হলে ভালো রিচ পাওয়া যায়
• নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট আপলোড করতে হবে
অফিসিয়াল রেফারেন্স: https://www.facebook.com/creators/monetization
২. ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম
ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ইনকাম করার উপায় হচ্ছে ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম। ফেসবুকে প্রবেশ করলেই আমাদের সামনে বিভিন্ন ধরনের পেইজের কন্টেন্ট দেখতে পাই। কনটেন্ট হতে পারে ভিডিও কিংবা লেখা। ফুড রিভিউ, ট্রাভেল পেজ,ট্রেন্ডি কোনো ট্রল পেজ,নিউজ পোর্টাল ইত্যাদি।
ফেসবুকের হোমপেজ থেকে থ্রি লাইন মেনুতে প্রবেশ করে Pages > create অপশনে গিয়ে আপনার পছন্দ মত একটি পেজ এর নাম ও পেজে কোন ধরনের কনটেন্ট দিবেন তার ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে ব্যানার ও প্রোফাইল ইমেজ দিয়ে সহজেই একটি পেজ তৈরি করতে পারবেন। তারপর নিয়মিত ফ্রেশ ও কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন্ট পাবলিশ করে ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুক পেজ থেকে কয়েকভাবে উপার্জন করা যায়।
- একটি ওয়েবসাইট খুলে ওয়েবসাইটের সাথে ফেসবুক পেজ অ্যাড করে সেখানে থেকে ভালো পরিমাণে ভিজিটর নেওয়া সম্ভব।
- প্রোডাক্টের রিভিউ কনটেন্ট দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে।
- গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম।
- পেজের কনটেন্ট বিক্রি করে ইনকাম।
- নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করার উপায়ে।
৩. ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হলো ব্যক্তিগত পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে কোন কোম্পানির বা পণ্যের মার্কেটিং করা। এক্ষেত্রে একটি ব্যক্তিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও বলা হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- গ্রামীনফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বর্তমানে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত পরিচয় কে কাজে লাগিয়ে কোন প্রতিষ্ঠানের কিংবা পণ্যের প্রমোট করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই কাজের জন্য কোন সেলিব্রেটিকে বাছাই করা হয়।
তবে আপনি কোন সেলিব্রেটি না হয়েও ফেসবুকে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। সেজন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি ভালো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কিংবা পেজ। সেখানে আপনার ফলোয়ার যত বেশি হবে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং আপনার জন্য ততটাই উপযোগী হবে।
ইনফ্লুয়েন্সারদের ৪টি পর্যায়ে রয়েছে।
- Nano Influencer- ফলোয়ার ১০,০০০ এর নিচে হলে।
- Micro Influencer- ফলোয়ার ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ হলে।
- Macro Influencer- ফলোয়ার ১ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ হলে।
- Mega Influencer- ফলোয়ার ১০ লক্ষ এর বেশি হলে।
আপনি একজন ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার হয়েও এই কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন।
৪. এডসেন্স থেকে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
অনেকের ধারণা, ফেসবুকে সরাসরি Google AdSense ব্যবহার করে ইনকাম করা যায়। বাস্তবে বিষয়টি একটু ভিন্ন। ফেসবুকে সরাসরি Google AdSense বিজ্ঞাপন বসানো যায় না, তবে ফেসবুককে ব্যবহার করে AdSense-approved ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে গিয়ে বৈধভাবে আয় করা যায়। বর্তমানে এটি ব্লগার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের অন্যতম জনপ্রিয় আয়ের কৌশল।
Google AdSense মূলত ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য। ফেসবুক এখানে সরাসরি বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং এটি একটি Traffic Source। অর্থাৎ, ফেসবুক থেকে ভিজিটর এনে আপনার ওয়েবসাইটে দেখানো AdSense বিজ্ঞাপন থেকেই মূল আয় হয়।
৫. গ্রুপ তৈরি করে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
ফেসবুক গ্রুপ প্রোডাক্ট সেলিং ও এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সেরা একটি উপায়। ফেসবুক পেজ থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং ও প্রোডাক্ট অ্যাডভার্টাইজিং করে ইনকাম করতে পারলেও ফেসবুক গ্রুপে তার থেকে অনেক বেশি এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুযোগ রয়েছে।
ফেসবুক পেজ হচ্ছে একটি ওয়ান ওয়ে কমিউনিকেশন সিস্টেম। সেখানে শুধু আপনি একাই তথ্য প্রদান করবেন এবং আপনার অডিয়েন্সরা সে সম্পর্কে জানবে ও শুনবে। তবে ফেসবুক গ্রুপে আপনার পাশাপাশি আপনার অডিয়েন্সরাও মতামত প্রকাশ করতে পারবে। এটি একটি টু-ওয়ে কমিউনিকেশন সিস্টেম। ফলে খুব সহজেই গ্রুপে ফলোয়ার বৃদ্ধি করা যায়।
আপনি কোন প্রোডাক্ট সেল করতে চাইলে গ্রুপে পোস্ট করলে তা অডিয়েন্সের মাধ্যমে অনেক বেশি প্রমোট করতে পারবেন। বিভিন্ন বড় প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক গ্রুপ নেই। তাই আপনি একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলে তাতে ফ্যান ফলোয়ার তৈরি করে নিজের ও বড় কোন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট সেল করে কমিশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবে।
৬. ভিডিও আপলোড করে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
ফেসবুকে ইউটিউবের মতোই ভিডিও আপলোড করে বৈধভাবে টাকা আয় করা যায়। তবে এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিষ্কারভাবে জানা দরকার—ফেসবুকে Google AdSense ব্যবহার হয় না। ফেসবুকে ভিডিও মনিটাইজেশন হয় Meta-র নিজস্ব In-Stream Ads সিস্টেমের মাধ্যমে। অনেক জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর, যেমন Free Motion ও Comolokko Bahini, এই Facebook In-Stream Ads ব্যবহার করেই আয় করছে।
ফেসবুক ভিডিও থেকে টাকা আয় কিভাবে হয়
ফেসবুক ভিডিওতে যখন In-Stream Ads চালু থাকে, তখন
• ভিডিওর শুরুতে
• ভিডিওর মাঝখানে
• অথবা ভিডিওর শেষে
বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এসব বিজ্ঞাপন থেকে আসা আয়ের একটি অংশ ভিডিও ক্রিয়েটরকে প্রদান করে Meta।
ভিডিও মনিটাইজেশন শুরু করার জন্য যা যা দরকার
ফেসবুক ভিডিও থেকে আয় শুরু করতে হলে প্রথমেই একটি ফেসবুক পেজ থাকতে হবে। এরপর কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়।
প্রধান শর্তগুলো হলো
• পেজে কমপক্ষে ১০,০০০ ফলোয়ার থাকতে হবে
• গত ৬০ দিনে অন্তত ৩০,০০০ মিনিট Watch Time থাকতে হবে
• ভিডিও অবশ্যই Original এবং Copyright-free হতে হবে
• Meta Monetization Policies মেনে চলতে হবে
এই শর্তগুলো পূরণ হলে পেজটি মনিটাইজেশনের জন্য যোগ্য হয়।
৭. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন কোম্পানির পণ্য বিক্রি করে দেওয়া, বিক্রির জন্য প্রচার-প্রচারণা করা। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় এবং সহজ ক্ষেত্র এখন ফেসবুক।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অ্যাফিলিয়েট কোম্পানিগুলো হল-
- Amazon
- Flipkart
- Alibaba
- Shareasale
এছাড়াও বাংলাদেশে বর্তমানে বেশ কিছু ই-কমার্স অ্যাফিলিয়েট সাইট রয়েছে। যেমন-
- Daraz
- Shopup
- Rokomari
ইত্যাদি সাইটগুলোতে এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে জয়েন করা যায়। তারপর তাদের পণ্য ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করার মাধ্যমে বিক্রি করা যায়। এভাবে কোম্পানির বিক্রি-প্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন প্রদান করে থাকে। আপনি যে কোন ধরনের পণ্য নিয়েই কাজ করতে পারেন। তবে টেক রিলেটেড মার্কেটিং করে অনেক বেশি উপার্জন করা সম্ভব।
৮. কনটেন্ট ও কোর্স বিক্রি করে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
প্রথমে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে, যেমন ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, চাকরি প্রস্তুতি, শিক্ষা, ডিজাইন বা টেকনোলজি।
এরপর নিয়মিত ফ্রি কিন্তু ভ্যালু-সমৃদ্ধ কনটেন্ট পেজে প্রকাশ করতে হবে, যাতে ফলোয়ারদের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি হয়। ফেসবুকে কেন বেচা করার ক্ষেত্রে কি মাথায় রাখতে হবে সেটা জানতে লেখাটি পড়তে পারেন।
যখন অডিয়েন্স আপনার কনটেন্টকে বিশ্বাস করতে শুরু করবে, তখন Premium Content বিক্রির অফার দিতে পারবেন।
কনটেন্ট বিক্রির উদাহরণ
• PDF গাইড বা ইবুক
• Premium পোস্ট বা টেমপ্লেট
• নোটস বা চেকলিস্ট
• Exclusive কনটেন্ট অ্যাক্সেস
৯. ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
ফেসবুকে কাজ পেতে হলে প্রথমেই আপনাকে সঠিক জায়গায় নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে। এজন্য ফেসবুকের বিভিন্ন বড় ও একটিভ ফ্রিল্যান্সিং গ্রুপ, কোম্পানির অফিসিয়াল গ্রুপ বা পেজ অত্যন্ত কার্যকর।
কাজ পাওয়ার প্রধান উপায়গুলো হলো
• ফেসবুক ফ্রিল্যান্সিং গ্রুপে নিয়মিত পোস্ট করা
• নির্দিষ্ট কোম্পানির পেজ বা গ্রুপে ইনবক্স করা
• নিজের স্কিল ও সার্ভিস সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে লেখা
• কাজের উদাহরণ বা পোর্টফোলিও শেয়ার করা
১০. মার্কেটিং ম্যানেজার হয়ে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
ফেসবুক মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বড় একটি অংশ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনলাইন মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় মাধ্যম হয়ে উঠছে ফেসবুক। তাই বিভিন্ন কোম্পানি ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে লোকবল নিয়োগ দিয়ে থাকে।
আপনার যদি ফেসবুক সম্পর্কে এবং ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা থাকে তাহলে আপনিও বিভিন্ন কোম্পানির ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হয়ে উপার্জন করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে লিড জেনারেশন, প্রোডাক্ট রিভিউ, প্রোডাক্ট সেলিং অ্যাফিলিয়েট ইত্যাদি কাজ করতে হয়। বাংলাদেশে এই কাজের ব্যাপক প্রসার হচ্ছে দিন দিন। তবে ইংরেজিতে দক্ষ হলে বহির্বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানিতে এই পদে কাজ করতে পারলে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করা সম্ভব।
এক্সপার্ট ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজারের চাহিদা অনেক বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী আগামী ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন কাজ হবে ডিজিটাল মার্কেটিং। যার সবচেয়ে বড় একটি অংশ হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং। তাই ক্যারিয়ার গড়তেও ফেসবুকের এই কাজটির প্রতি লক্ষ্য রাখতে পারেন।
১১. গ্রুপে এডমিন ও মডারেটর হয়ে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
ফেসবুকে বিভিন্ন বড় বড় গ্রুপে এডমিন ও মডারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে প্রতিমাসে ভালো পরিমাণ সেলারিও প্রদান করা হয়। ফেসবুক সম্পর্কে সাধারণ ধারণা থাকলেই একটি স্মার্ট ফোন দিয়ে খুব সহজে ফেসবুক গ্রুপে এডমিন হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
বিভিন্ন গ্রুপে প্রবেশ করলেই – এডমিন নিয়োগ দেওয়া হবে, এ ধরনের পোস্ট দেখা যায়। সেখানে যোগাযোগ করে এই পোষ্টের জন্য একজন প্রার্থী হয়ে কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ইনকাম কিছুটা কম হলেও ফেসবুক মার্কেটিং এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করা যায়।
আপনি যদি নিয়মিত ফেসবুক ইউজার হয়ে থাকেন, তাহলে ফেসবুকে অযথা সময় নষ্ট না করে বিভিন্ন গ্রুপের এডমিন ও মডারেটর হয়ে নিজের পছন্দ মতো দিনে কিছুটা সময় দিয়ে মোটামুটি ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
১২. অ্যাডভার্টাইজিং করে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
ফেসবুক থেকে শুধু এড শো করেই ইনকাম করা যায় এমনটি নয়। আপনি নিজেও ফেসবুকে পেইড অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করে আপনার বা বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট এফিলিয়েট করে ইনকাম করতে পারবেন। আমরা ফেসবুকের নিউজফিড স্ক্রল করার সময় বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কিংবা পিকচার অ্যাড দেখতে পাই। মনে তো এগুলোই ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজিং।
ফেসবুক বিশাল একটি একটিভ ট্রাফিক সোর্স। এখানে লক্ষ লক্ষ দেশী-বিদেশী মানুষের কাছে কোন প্রোডাক্ট কিংবা সেবার অ্যাডভার্টাইজিং করে বেশি কাস্টমার পাওয়া যায়।
তবে এই মাধ্যমটি ফ্রী নয়। ফেসবুকে নিজের এড পাবলিশ করার জন্য অবশ্যই ফেসবুকে অর্থ প্রদান করতে হবে। তারপর নিজস্ব তথ্য বা ছবি কিংবা ভিডিও দিয়ে এড ইউনিট তৈরি করে পোস্ট করতে হবে।









