এই লেখায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা লিখা হয়েছে। এই রচনা, ক্লাস সিক্স থেকে শুরু করে এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী করে লেখা হয়েছে। একদম সহজ ভাষায় কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। ফল, পরীক্ষায় ভাল নাম্বার পাওয়ার সুযোগ বেশী থাকবে ইনশা আল্লাহ।
লেখার সূচিপত্র
রচনা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা
ভূমিকা
আমাদের বর্তমান জীবনে যেভাবে সুখ আর আরামের অনুপ্রবেশ ঘটেছে, সেক্ষেত্রে আমরা আসলেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপকারিতাকে অস্বীকার করতে পারিনা। প্রযুক্তি হল সেই পরশ পাথর, যা মানবজীবনকে সহজতর করে তুলেছে এবং মানব সভ্যতাকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে এসেছে।
মানুষের জীবনযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অনেকাংশে এগিয়ে নিয়ে এসেছে। শিক্ষাখাত, পরিবেশ, অর্থনীতি, রাষ্ট্রীয় জীবন সর্বক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উতপ্রেতভাবে জড়িত। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এই উন্নতি আর অগ্রগতির কারণে আমরা ঘরে ভিডিও কলের মাধ্যমে যেকোন জায়গায় যোগাযোগ করতে পারছি। দ্রুত গতির বুলেট ট্রেন বা বিমানের কারণে যেকোন জায়গায় দ্রুত চলে যেতে পারছি। ফলে পুরো পৃথিবী এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) কি?
আইসিটি (Information and Communication Technology – ICT) বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, হল এমন একটি স্ট্রাকচার যা আধুনিক কম্পিউটিং সিস্টেমকে পরিচালনা করে। যদিও আইসিটির কোন একক বা কোন সার্বজনীন সংজ্ঞা নেই, তবে শব্দটি সাধারণত সমস্ত ডিভাইস, নেটওয়ার্কিং উপাদান, সফটওয়্যার এবং প্রযুক্তিগত সিস্টেমগুলিকে বোঝায়।
কম্পিউটার সায়েন্সের এনসাইক্লোপিডিয়া অনুসারে, “তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) হল একটি শব্দ যা কম্পিউটার এবং যোগাযোগের সাথে সম্পর্কিত কার্যক্রমের ক্ষেত্রগুলিতে প্রয়োগ করা হয়”।
UNESCO এর মতে “আইসিটি হল একটি বৈজ্ঞানিক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল; যা সামাজিক, আর্থিক এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিচালনা পদ্ধতি”।

তথ্য সংগ্রহ করা, সংরক্ষণ করা, প্রক্রিয়া করা ও বিতরণ বা আদান-প্রদানের সাথে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনাকে বলে তথ্যপ্রযুক্তি। অপরদিকে এসব প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক যে যোগাযোগ পদ্ধতি গড়ে উঠেছে তাকে বলা হয় যোগাযোগ প্রযুক্তি।
তথ্যপ্রযুক্তির উপাদান
তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় ইন্টারনেট থেকে শুরু করে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক তার সাথে মোবাইল ফোন, ল্যান্ডলাইন টেলিফোন, রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার এইসব কিছুই পরে। এমন কি, এখনকার স্বয়ংক্রিয় রোবট, তারপর স্যাটেলাইট সব কিছু তথ্যপ্রযুক্তির উপাদান হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তির উপাদানের তালিকাটি দিন দিন বাঁড়ার পথে আছে। কিছু উপাদান, যেমন কম্পিউটার এবং টেলিফোন, এগুলো অনেক বছর ধরেই তথ্যপ্রযুক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অনান্য উপাদান যেমন স্মার্টফোন, ডিজিটাল টিভি এবং রোবট, আরো অনেক ডিভাইস সাম্প্রতিকভাবে তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় যুক্ত হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তির যে শুধুমাত্র এই ডিভাইসগুলোকে আওতাভুক্ত করে তা নয়, এর যথার্থ প্রয়োগকে মানে ব্যবহারকেও অন্তর্ভুক্ত করে। তথ্যপ্রযুক্তির উপাদানের কিছু তালিকা:

- কম্পিউটার
- ইন্টারনেট
- ইমেইল
- রেডিও, টেলিভিশন
- স্যাটেলাইট
- হার্ডওয়্যার
- সফটওয়্যার
- মিডলওয়্যার
- ডেটা
- নেটওয়ার্ক
- ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক
তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার
বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার করা ছাড়া এক মিনিটও থাকা সম্ভব নয়। পারস্পরিক যোগাযোগ থেকে শুরু করে একটি দেশের সামরিক খাত পর্যন্তু এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। নিচে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের কিছু তালিকা দেয়া হলো:
- চিকিৎসা বিষয়ক গবেষনা ও তথ্য সংগ্রহ। কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় তথ্য সংরক্ষন করার জন্য।
- ব্যাংকিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রন ও গ্রাহকদের ঘরে বসে সেবা দিতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়।
- কৃষি উৎপাদন ও বিপণনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়।
- প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলায় আগাম বার্তা মানুষের নিকট পৌছে দিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়।
- ই-কমার্স, কাস্টমার কিংবা সাপ্লায়ারের সাথে যোগাযোগ, ব্যবসা কাজ পরিচালনা করতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়।
- সর্বস্তরে শিক্ষার প্রসার ঘটানো।
- সকল প্রকার শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ প্রদান করা।
- ঘরে বসে দেশী-বিদেশী চাকরি করা যায়।
তথ্যপ্রযুক্তির সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব
তথ্যপ্রযুক্তির অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পারস্পারিক লেনদেন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। তথ্যপ্রযুক্তির মানুষের কাজকর্ম, যোগাযোগের মাধ্যম, শিক্ষা এবং জীবনযাত্রাকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করেছে। তথ্যপ্রযুক্তির অনেকভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে উন্নত করেছে, আমাদের কাজে কম্পিউটার এবং রোবটের ইউজ আমাদের কাজকর্মকে অনেক ক্ষেত্রে গতিশীল করে।
আমরা যে বর্তমানে সহজেই যোগাযোগ করতে পারি, তা তথ্যপ্রযুক্তির অবদান। আপনি আপনার কারখানায় কিছু তৈরি করছেন, বা আপনি আপনার কাজের হিসাব কম্পিউটার দিয়ে রাখি বা কাজকে গতিশীল করার জন্য রোবট ইউজ করি এইসব তথ্যপ্রযুক্তির অংশ।
এইভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিতে তথ্যপ্রযুক্তির এর গুরুত্ব এতটাই স্মরণীয় হয়ে উঠেছে যে, প্রকৃতপক্ষে, প্রযুক্তি ছাড়া আমরা নিশ্বাস নিতে ও পারিনা।তথ্যপ্রযুক্তির সমাজে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন এনেছে, কারণ মানুষ এখন নিজের মধ্যে গুঁটিয়ে না থেকে ডিজিটাল স্পেসে চলে যাচ্ছে। এই নতুন যুগকে এইজন্য ডিজিটাল যুগ বলা হয়।
তবে তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ সুবিধাগুলি এখন সব জায়গায় মানুষ সমানভাবে পাচ্ছেনা, এটা সত্যি যে ধনী দেশ বা ধনী মানুষেরা এই সুযোগ সুবিধা গুলি আগে পায় এবং বেশি পায়। বাংলাদেশের মত গরিব দেশ এখন ও অনেক টা বঞ্চিত এইসব থেকে।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্বব্যাংকের কিছু ফলাফল বিবেচনা করা যাক। ২০১৬ সালে, এটি বলেছিল যে বিশ্বব্যাপী ৭৫% এরও বেশি লোক একটি সেলফোন অ্যাক্সেস করে। যাইহোক, তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামোগত ম্যানেজমেন্টের অভাবের কারণে অনেক দেশে মোবাইল বা ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস অনেক ব্যয়বহুল।
উপরন্তু, বিশ্ব ব্যাংক অনুমান করে যে ৭.৪ বিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে,৪ বিলিয়নেরও বেশি ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে পারেনা । উপরন্তু, এটিও অনুমান করে যে শুধুমাত্র ১.১ বিলিয়ন মানুষ উচ্চ গতির ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে পারে এবং তাদের সবাই ধনী।
তথ্যপ্রযুক্তির অর্থনৈতিক সুবিধা বাজারের পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে ব্যবসা এবং সমাজের বৃহত্তর ক্ষেত্রগুলিতেও সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছে। তথ্যপ্রযুক্তির বাজারের মধ্যে, তথ্যপ্রযুক্তির সক্ষমতার অগ্রগতি তথ্যপ্রযুক্তির বিক্রেতাদের এবং তাদের গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং বিতরণকে সহজলভ্য করে তুলেছে এবং নতুন বাজারের সুযোগও সরবরাহ করেছে।
উদাহরণস্বরূপ, টেলিফোন কোম্পানিগুলিকে একসময় টেলিফোন লাইনগুলির মাইলের পর মাইল নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে হত কিন্তু বর্তমানে তারা আরও উন্নত নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে স্থানান্তরিত হয়েছে এবং তার সাথে টেলিফোন, টেলিভিশন এবং ইন্টারনেট সার্ভিস সরবরাহ করে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবস্থা আর ও বেশি উন্নত হচ্ছে আস্তে আস্তে।
যোগাযোগ ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি
এখন আমাদের যোগাযোগ মাধ্যম এত বেশি সচল হয়েছে আমরা মুহূর্তের মধ্যে ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে এক সাথে থেকে আরেক স্থানে সহজেই যোগাযোগ করতে পারে। বর্তমানের সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী উদাহরণ হল, এই করোনা মহামারিতে অনলাইন ক্লাস, বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী এইভাবে ক্লাস করে পাশ করেছে, এই কাজ টি তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির জন্যই তো সম্ভব হয়েছে।
আপনি যে কোন খবর জরুরীভিত্তিতে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পোছাতে পারেন, সোসিয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে, এইসব সম্ভব হচ্ছে শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তির এই বৈপ্লবিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য।

শিক্ষা ও চিকিৎসাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
বর্তমানে যে ই-লার্নিয়ের জোয়ার চলছে তা মূলত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফসল। বর্তমানে ঘরে বসে দূর-দূরান্ত থেকে সেরা শিক্ষকের ক্লাস করতে পারছে শিক্ষার্থীরা। যেকোন, বই বা প্রয়োজনীয় তথ্য খুব সহজেই ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করতে পারছে। খুব সহজেই, গ্রুপ স্টাডি করা যাচ্ছে।
চিকিৎসাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির কিছু ব্যবহার:
- চিকিৎসকের সঙ্গে রোগী ঘরে বসে যোগাযোগ করতে পারছে। যাকে আমরা টেলিমেডিসিন বলে অভিহিত করি। রোগী ঘরে বসে লাইভ কলে ডাক্তার দেখিয়ে প্রেসক্রিপশন নিতে পারছে। আবার সেই প্রেসক্রিপশনের অষুধ ঘরে বসে ই-কমার্সের মাধ্যমে অর্ডার করতে পারছে।
- দ্রুত রোগ সনাক্ত এবং নিরাময় করা যাচ্ছে। কেননা, যেকোন অষুধের ডাটাবেজ, রোগীর পূর্বের কোন রোগের ডাটাবেজ সব কিছু এখন কম্পিউটারে ও হাসপাতালের ডাটাবেসে সংরক্ষন করা থাকে। ফলে, এক ক্লিকে সকল তথ্য চলে আসে।
- ইলেকট্রনিক্স হেলথ রেকর্ড রাখার ফলে স্বাস্থ্য কর্মীরা খুব সহজে রোগীকে সঠিক ওষুধ সরবারহ করতে পারে।
- ডায়াগনস্টিক সেন্টারে না গিয়ে ঘরে বসে পরীক্ষা করা যাচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কারণে।
বিনোদনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
বর্তমানে গান, মুভি, গেম খেলা থেকে শুরু করে সব বিভিন্ন দেশের বিনোদন নেয়া যাচ্ছে। পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের সংস্কৃতির খুব সহজ বিনিময় হচ্ছে। এখন আমরা শুধু একটা ক্লিক করেই পছন্দ মত যেকোন ভাষার গান বা মুভি দেখতে পারি। একদম ছোট ছোট শিশু থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক যেকেউ ট্যাব বা মোবাইলে বসে ভিডিও স্ট্রিমিং, অডিও, গেম খেলতে পারছে।
তথ্যপ্রযুক্তির তাৎপর্য
ব্যবসায়কে তথ্যপ্রযুক্তির অনেক বেশি ব্যয় সাশ্রয়ী , সুযোগ এবং সুবিধাসম্পন্ন করে তুলেছে। তারা ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলিকে স্বয়ংক্রিয় করে তোলার পাশাপাশি অনেক ব্যয়ও হ্রাস করেছে, এছাড়া ও অনলাইন শপিং বা টেলিমেডিসিন এইসব ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির অনেক বড় ভুমিকা রাখছে। শিক্ষা,চিকিৎসা এমনকি বিজ্ঞান চর্চাতে ও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।এটি আপনাকে ঘরে বসেই শিক্ষা, চিকিৎসার সুবিধা পেতে সহায়তা করে।
তথ্যপ্রযুক্তির নেতিবাচক দিক
তথ্যপ্রযুক্তির প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিদের জন্য একই সাথে সমস্যা ও তৈরি করেছে – পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে সমাজের জন্যও। ইন্টারনেটের এত বেশি ইউজ বর্তমান তরুণ সমাজকে অপরাধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, মানুষকে আসক্ত করে তুলছে।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হ্যাক করে ব্ল্যাকমেইল এই বিষয়গুলি সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ডেকে আনছে। তথ্যপ্রযুক্তির অটোমেশন এবং রোবটও নিয়ে এসেছে যা শ্রমিকদের স্থানচ্যুত করে বেকারত্ব বাড়াচ্ছে। মানুষকে অলস ও করে তুলেছে,। এছাড়া এত ভারচুয়ালিটির প্রসারতা মানুষের সাথে মানুষের ডিস্টেন্স তৈরি হচ্ছে। সামাজিক অবক্ষয় বাড়ছে। তথ্যপ্রযুক্তির উপকারের পাশাপাশি কিছু সমস্যা ও বয়ে নিয়ে আসছে।
- তথ্যের নিরাপত্তার অভাব।
- ভাইরাস আক্রমনের ঝুঁকি।
- খরচ বৃদ্ধি।
- প্রতারণার পরিমাণ বৃদ্ধি।
উপসংহার
বর্তমান ডিজিটাল যুগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসার আমাদের জীবনকে অনেক টা সহজ এবং উপভোগ্য করে তুলেছে। পৃথিবীটাকে ছোট করতে করতে আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। তবে এর পাশাপাশি কিছু সমস্যা ও বয়ে এনেছে।
আমাদের কাজ হল খারাপ দিকগুলো দূরে রেখে ভাল দিকগুলো বেছে নিতে হবে, প্রযুক্তির প্রসারের যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা লিখন এই রচনা প্রয়োজন হলে পড়ে নিতে পারেন।










