মানচিত্র কি? স্কেল অনুসারে মানচিত্র কত প্রকার? এরকম প্রশ্নের উত্তর যদি খুঁজে থাকেন! তাহলে, আপনি সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। এই লেখায় আমরা মানচিত্র কি? মানচিত্র কত প্রকার? মানচিত্র বোঝার উপায়, সহ মানচিত্র নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় তুলে ধরবো। লেখাটি পড়ার পর আপনি মানচিত্র নিয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
লেখার সূচিপত্র
মানচিত্র কি?
মানচিত্রের ইংরেজি শব্দ MAP আর এটা ল্যাটিন শব্দ Mappa থেকে এসেছে। যার অর্থ এক খন্ড কাপড়। মানচিত্র হল কোন প্রাকৃতিক উপাদান বা কোন সমতল পৃষ্ঠের বা কোন এলাকার একটি প্রতীকী উপস্থাপনা। মানচিত্র খুবই দরকারী জিনিস। কারণ, এটি কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চল, নির্দিষ্ট স্থানের সীমানা, এলাকা বা সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশের ধরন, জলবায়ু এমনকি অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্যগুলিকে ছবির মাধ্যমে উপস্থাপন করে।
সেই প্রাচীনকাল থেকে মানচিত্র বিভিন্ন অচেনা জায়গা শনাক্তকরণ এবং যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আজ থেকে ৩,০০০ বছর পূর্বে মিশরে সর্বপ্রথম মানচিত্র তৈরি করা হয়। যেহেতু নীল নদের বণ্যার কারণে, জমির সীমানা ঠিক থাকতো না। তাই, তার হিসাব রাখার জন্য মানচিত্র তৈরি করা হয়। বিশ্বের প্রথম মানচিত্রটি প্রথমে হাত দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এবং তা তৈরি করতে অনেক সময় লেগেছিল।
মানচিত্র মূলত সপ্তদশ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীতে বিভিন্ন দেশে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি পাওয়ার পাশাপাশি বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় স্টিমড ফটোগ্রাফির বা ধোঁয়া দিয়ে আঁকা ছবির ব্যাপক ব্যবহার মানচিত্র তৈরির প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিল।
মানচিত্রের প্রকারভেদ
মানচিত্রকে প্রধানত ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
- স্কেলের ভিত্তিতে (According to Scale) :
- উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে (According to Purposes)

এখন কথা হলো, স্কেল অনুসারে মানচিত্র কত প্রকার? স্কেল অনুসারে মানচিত্র ৪ প্রকার। যথা:
- মৌজা মানচিত্র (Cadastral Map): মৌজা মানচিত্র হল এমন একটি মানচিত্র যা একটি দেশের বা জায়গার জমির অবস্থান, এলাকা, মালিকানা, মূল্য এবং জমির একটি পৃথক পার্সেলের মেয়াদ ও অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই ধরণের মানচিত্র ১টি গ্রাম কিংবা ২ থেকে ৩টি গ্রাম নিয়ে হতে পারে। মানচিত্রের স্কেল ১৬ ইঞ্চি = ১ মাইল থেকে ৩২ ইঞ্চি = ১ মাইল পর্যন্ত হয়।
- ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র (Topographical Map): ভূ-সংস্থানিক মানচিত্রে শহর-বন্দর, ঘর-বাড়ি, বনভূমি, নদ-নদী, ভূমির ব্যবহার, পরিবহন ইত্যাদি বিষয় উপস্থাপন করা হয়। বিন্দু ও বিভিন্ন রং দিয়ে উপস্থাপন করা হয়। মানচিত্রের স্কেল ১ ইঞ্চি = ১ মাইল থেকে ১৪ ইঞ্চি = ১ মাইল পর্যন্ত হয়।
- দেওয়াল মানচিত্র (Wall Map): বিশ্বের বা কোন দেশের মানচিত্র যখন কাগজে করে দেয়ালে লাগিয়ে রাখা হয় তখন সেটাকে দেওয়াল মানচিত্র বলে। এই ধরণের মানচিত্র স্কুল-কলেজ, অফিস বা বাসা-বাড়িতে দেখা যায়। দেওয়াল মানচিত্রের স্কেল ১ ইঞ্চি = ৩০০ মাইল পর্যন্ত হয়।
- ভূ-চিত্রাবলী (Chorographical or Atlas Map): ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, উদ্ভিজ্জ, কৃষিজ, খনিজ, শিল্প, শহর ইত্যাদি রং ও চিহ্নের মাধ্যমে যে মানচিত্রে দেখানো হয় তাকে ভূ-চিত্রাবলী মানচিত্র বলে। এটা সবচেয়ে ছোট স্কেলে অঙ্কন করা হয়। এই ধরণের মানচিত্রে স্কেল সাধারণত ১: ১,০০,০০০ বা ১: ১০,০০,০০০ বুঝানো হয়।
এবার আসি, উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে মানচিত্র কত প্রকার? উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে মানচিত্র ১১ প্রকার। যথা:
- বন্ধুরতা মানচিত্র (Relief Map): ভূ-পৃষ্ঠের সমতার ঢাল, পাহাড়, পর্বত, হ্রদ এবং পৃথিবীর কোনো স্থান কি পরিমান উচু বা নিচু ইত্যাদি জানা যায় বন্ধুরতা মানচিত্রের মাধ্যমে।
- ভূ-তাত্ত্বিক মানচিত্র (Geological Map): ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র এমন একটি মানচিত্র যা ভূতত্ত্ব এবং শিলার বিভিন্ন স্তরের বৈশিষ্ট্য বা ধরণ দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ভূ-পৃষ্ঠের নীচের শিলার ধরন এবং অবস্থান বিভিন্ন প্রতীক বা রঙ দ্বারা দেখানো হয়।
- উদ্ভিজ্জ মানচিত্র (Vegetation Map): পৃথিবীর কোথায় কোন উদ্ভিদ আছে সেটা বোঝা যায় এই মানচিত্রের মাধ্যমে।
- জ্যোতিষ্ক মানচিত্র (Astronomical Map): বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদির অবস্থান জানা যায় জ্যোতিষ্ক মানচিত্রের মাধ্যমে।
- জলবায়ু মানচিত্র (Climate Map): একটি দেশের বা মহাদেশের বহু বছরের আবহাওয়ার গড় জানা যায় এই মানচিত্রের মাধ্যমে।
- আবহাওয়া মানচিত্র (Weather Map): একটি দেশের বা মহাদেশের স্বল্প কালীন আবহাওয়ার গড় জানা যায় এই মানচিত্রের মাধ্যমে।
- মৃত্তিকা মানচিত্র (Soil Map): মাটির প্রকারভেদ ও শিলার অবস্থান সম্পর্কে জানা যায় এই মানচিত্র থেকে।
- সামরিক মানচিত্র (Military Map): সামরিক স্থান ও যুদ্ধ ক্ষেত্র সম্পর্কে জানা যায়।
- সাংস্কৃতিক মানচিত্র (Cultural Map): একটি থিম্যাটিক মানচিত্র এমন একটি মানচিত্র যা একটি নির্দিষ্ট ভৌগলিক এলাকার সাথে স্পেশাল থিমকে হাইলাইট করার জন্য ডিজাইন করা হয়ে থাকে। যেমনঃ ভারত খুব ঐতিহ্যের দেশ, তাহলে এর থিম বেসিস মানচিত্রে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপাদানকে হাইলাইট করা হবে।
- অর্থনৈতিক মানচিত্র (Economic Map): দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতগুলোর সম্পর্কে জানা যায় এই মানচিত্র থেকে।
- রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মানচিত্র (Political and Administrative Map): রাজনৈতিক মানচিত্র এমন একটি মানচিত্র যা কোনও অঞ্চল, দেশের বা এলাকার রাজনৈতিক অবস্থাকে দেখায়। এটি একটি অঞ্চল বা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক সীমানা, প্রধান অঞ্চল বা শহরগুলির অবস্থান এবং উল্লেখযোগ্য ভূখণ্ড যেমন নদ নদী ইত্যাদি চিহ্নিত করে দেখায়। যেমনঃ গোপালগঞ্জের মানচিত্রে অবশ্যই আঞ্চলিক আওয়ামীলীগের প্রভাব চিহ্নিত করে দেখানো হয়, এবং এইখানে বয়ে যাওয়া মধুমতি নদী ও দেখানো হয়।
পৃথিবীর মানচিত্র বাংলায়

এসব ছাড়াও আরও কিছু মানচিত্র রয়েছে যেমন, টপোগ্রাফিক মানচিত্র, ভৌত মানচিত্র, রোড ম্যাপ, ডট ডিস্ট্রিবিউশন ম্যাপ ইত্যাদি।
টপোগ্রাফিক মানচিত্রঃ টপোগ্রাফিক মানচিত্র হল কোন স্থানের সীমা রেখা এবং অন্যান্য বিভিন্ন ফিচার যেমন, মাটির ধরন, বা প্রাকৃতিক সম্পদের ফিচারের বর্ণনা ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য বা মানব সম্পদের বিশদ বিবরণ এবং পরিমাণ উল্লেখ করে। মানচিত্রটি মানব সৃষ্ট কোন স্থাপনা এবং প্রাকৃতিক ভূতাত্ত্বিক উভয় ধরনের বৈশিষ্ট্যই দেখায়।
ভৌত মানচিত্রঃ নাম থেকে বোঝা যায়, ভৌত মানচিত্র হল এমন মানচিত্র যা পৃথিবীর প্রাকৃতিক লেন্ড স্কেপের বৈশিষ্ট্যগুলিকে দেখানোর জন্য ডিজাইন করা হয়। এই ধরনের মানচিত্র বেশ কয়েক ধরনের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য যেমন মাটির ধরণ, পাহাড় এবং ভূমির ধরন যেমন রাস্তা এবং ভবণের মতো অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ বেশ কয়েকটি ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য গুলি দেখানোর জন্য সর্বাধিক পরিচিত। যেমনঃ ঢাকার ভৌত মানচিত্রে যমুনা ফিউচার পার্ক বা রেডিসন হোটেল ও দেখানো হবে।
রোড ম্যাপঃ রোড ম্যাপস, যা রুট ম্যাপ নামেও পরিচিত, রাস্তা এবং রাস্তায় থাকা বিভিন্ন পরিবহণ ব্যবস্থা এমনকি সেসব পরিবহণের লিঙ্ক ও নির্দেশ করে। এই মানচিত্র নির্দিষ্ট জায়গার রাজনৈতিক সীমানাও অন্তর্ভুক্ত করে, যার ফলে একে কখনও কখন ও রাজনৈতিক মানচিত্র হিসেবে ও গণ্য করা হয়। বর্তমানে গুগল ম্যাপ গুলো এই ধরনের হয়ে থাকে, এইখানে কোন স্থানে ভারী ট্রাফিক থাকলে দেখানো হয়।
ডট ডিস্ট্রিবিউশন ম্যাপঃ নাম থেকেই বোঝা যায় এটি এমন এক ধরণের মানচিত্র যা কোন জায়গার বিশেষ ফিচারগুলিকে নির্দেশ করার জন্য বিন্দু ব্যবহার করে এবং স্থানিক নিদর্শনগুলি দেখানোর জন্য ভিজ্যুয়াল স্ক্যাটারের উপর নির্ভর করে। যেমন, কোন জায়গায় ঘন বন থাকলে তা বিন্দুর মাধ্যমে দেখানো হয়। ব্রাজিলের আমাজন বন দেখানোর জন্য ডট ডিস্ট্রিবিউশন ম্যাপ ভাল উদাহরণ।
মানচিত্রের প্রয়োজনীয়তা কি?
মানচিত্র আমাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান সনাক্ত করতে, অধ্যয়ন করতে এবং বিভিন্ন অবস্থানের তুলনা করতে এবং এমনকি আবহাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। এর মধ্যে টপোগ্রাফিক মানচিত্র এবং আবহাওয়ার মানচিত্র সহ বিভিন্ন ধরণের মানচিত্র রয়েছে।
এছাড়া, মানচিত্র যেকোন অচেনা জায়গায় যেতে সহায়তা করে থাকে। যেহেতু মানচিত্রে স্কেল থাকে। তাই, সহজেই পরিমাপ করা যায় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গার দূরত্ব। একটি সঠিক মানচিত্রের মাধ্যমে ভ্রমণকারীরা তাদের গন্তব্যে নিরাপদ ভাবে দ্রুত উপায়ে পৌঁছাতে পারে। মানচিত্র অনেক সময় গুপ্তধনের মত মূল্যবান জিনিস খুঁজতে ও ব্যবহার করা হয়।
মানচিত্রের মাধ্যমে কোন স্থান বা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এমনকি সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে ও জানা যায়। এছাড়া স্থল পথ, জল পথ বা বিমান পথে সঠিকভাবে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। জাহাজ চলাচল, যুদ্ধ ক্ষেত্রে কৌশল, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বুঝতে সহায়তা করে এই মানচিত্র।
মানচিত্র বোঝার উপায়
মানচিত্র অংকন করার বেশ কয়েকটি উপাদান রয়েছে, যা একটি সুন্দর এবং সঠিক মানচিত্র আঁকতে সহায়তা করে। আর এসব উপাদন সম্পর্কে ও কাজ সম্পর্কে জানতে পারলে আপনার মানচিত্র বোঝার উপায়ও জানা হয়ে যাবে।
১. মানচিত্রের শিরোনাম (Heading)
মানচিত্রটি কিসের এটা জানা যায় মানচিত্রের শিরোনাম বা টাইটেল দেখে। আপনি যদি, অর্থনৈতিক মানচিত্র খুঁজে থাকেন, তাহলে মানচিত্রের শিরোনামে দেখুন কি দেয়া আছে। মানচিত্রের শিরোনাম সাধারণত উপরে উত্তর-পূর্বাংশে থাকে।
২. মানচিত্র স্কেল (Scale)
মানচিত্র স্কেলের বিষয়টি আসলে একটি অনুপাতিক বর্ণনা। মানচিত্রে যেভাবে পুরো বিশ্বকে দেখানো হয় তার মানে এই না যে গোটা দুনিয়াটাই এত ছোট, মানচিত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাপ অনুযায়ী আঁকা হয়, এই পরিমাপকেই মানচিত্র স্কেল বলে।

স্কেল যত ছোট দেখানো হবে মানচিত্র তত বেশি আয়তন দেখানো যাবে। মানে ধরুণ, মানচিত্রের স্কেলে দেখানো হলো ১ ইঞ্চি = ৩০০ মাইল! সুতরাং, আপনি স্কেল দিয়ে মেপে দেখুন, ম্যাপে ঢাকা থেকে কুমিল্লার দূরত্ব কত ইঞ্চি হয়েছে। যদি দেখেন ৩ ইঞ্চি তাহলে ঢাকা থেকে কুমিল্লার দূরত্ব ৩০০x৩ = ৯০০ মাইল।
৩. অক্ষ ও দ্রাঘিমারেখা (Latitudes and Longitudes)
পূর্ব-পশ্চিমে অক্ষ রেখা আর উত্তর-দক্ষিনে দ্রাঘিমা রেখা। মানচিত্রে অক্ষ ও দ্রাঘিমারেখা ছক তৈরি করা হয় আর এর দ্বারা মানচিত্রের অবস্থান বোঝা যায়।
৪. সূচক (Index)
মানচিত্রে কোন চিহ্ন দ্বারা কি বোঝানো হচ্ছে তা সূচক দ্বারা বোঝানো হয়। নিচের ছবিতে তার উদাহরণ দেয়া হলো।
৫. উৎস (Source)
মানচিত্রটি কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, এটা জানা যায় উৎস দিয়ে। এটা মানচিত্রের নিচে থাকে।
৬. উত্তর দিক (North Line)
মানচিত্রে একটি তীর চিহ্ন দিয়ে বা উ: লিখে বোঝানো হয় এটা উত্তর দিক বরাবর ধরে নিতে হবে। মানে মানচিত্রটিকে আপনি উত্তর দিক বরাবর রাখলে সঠিকভাবে বুঝতে পারবেন।
৭. শীট নাম্বার (Sheet Number)
যদিও শীট নাম্বার সব মানচিত্রে থাকে না। সাধারণত, মৌজা মানচিত্রে শীট নাম্বার থাকে। বৈচিত্র সূচক বোঝাতে শীট নাম্বার ব্যবহার করা হয়।
৮. সীমানা (Boundary)
সীমানা দ্বারা অবস্থান কতটুকু তা বোঝানো হয়। যেমন, ঢাকার সীমানা কতটুকু তা সীমানা রেখা দ্বারা বোঝানো হয়।
৯. সংকেত (Symbols)
মসজিদ, মন্দির, পাহাড়, পর্বত, সেতু, বাঁধ, নদী, জলাভূমি, নদী, হ্রদ, নগর, শহর, রেলপথ, সড়কপথ, কল-কারখানা, লাইট হাউজ ইত্যাদি বোঝানোর জন্য মানচিত্রে কিছু চিহ্ন থাকে।
চাইলেই ইচ্ছামত চিহ্ন বসানো যাবে না। আর্ন্তজাতিক ভাবে স্বীকৃত চিহ্নই ব্যবহার করতে হবে। যেমন, মসজিদের জন্য আর্ন্তজাতিক ভাবে যে চিহ্ন নির্ধারিত সেটাই ব্যবহার করতে হবে। তাই, আপনি এই চিহ্ন দেখে বুঝতে পারবেন কোথায় কি আছে! নিচের ছবিতে বেশ কিছু চিহ্ন দেখানো হলো।

মানচিত্র স্কেল কাকে বলে?
মানচিত্র স্কেল হল মানচিত্রে দূরত্ব এবং বাস্তব বিশ্বের দূরত্বের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্ব সম্পর্কে জানা যায়। ধরুন আপনি, এই মুহূর্তে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে চান, এখন মানচিত্রে থাকা মানচিত্রের স্কেল ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মধ্যে দূরত্ব কতটুকু তা জানতে সহায়তা করবে।
এটি মুলত বোঝায় যে কাগজে আঁকা মানচিত্র বাস্তব বিশ্ব থেকে অনেক ছোট, যা একটি ছোট প্রতিবিম্ব মাত্র। মানে হল একটি মানচিত্রে ৫০,০০০ একর জায়গা বাস্তবে অনেক বেশি জায়গা যা একবারে দেখা সম্ভব না। মানে বাস্তবে যা ১০০ কিলোমিটার বা মানচিত্রে ১০ ইঞ্চিতে দেখানো হয়।
মৌজা মানচিত্র স্কেল কত?
১৬ ইঞ্চিতে ১ মাইল ও ৩২ ইঞ্চিতে ১ মাইল
শেষ কথা
আশা করি, মানচিত্র কি? মানচিত্র কত প্রকার ও মানচিত্র বোঝার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তারপরও যদি কোন বিষয় জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর মানচিত্রের ডিজিটাল ভার্সন হলো, গুগল ম্যাপ আপনি চাইলে গুগল ম্যাপ কিভাবে কাজ করে? লেখাটি পড়তে পারেন।