ইন্টারনেট কি? এর উত্তর অনেকের নিকট জানা না থাকলেও, আমাদের এই বর্তমান সময়ে সবচেয়ে কমন এবং পরিচিত নাম হচ্ছে ‘ইন্টারনেট’ (Internet)। একটা প্রশ্নে সমস্যা বাঁধল, তো ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই পাওয়া যায় উত্তর। কোনো কিছু নিয়ে কনফিউজড? ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই ঘুচে যাবে কনফিউশন। তবে আজ আমরা একটু ভিন্নভাবে আলোচনা করতে যাচ্ছি।
আগে কোনো কিছু জানতে হলে প্রচুর বইপত্র ঘাঁটতে হতো। আর বইয়ে না পেলে কারে কাছে জিজ্ঞেস করতে করতে একসময় পাওয়া যেত এর উত্তর। আর বর্তমান আধুনিক বিশ্বে খুব সহজেই আমরা বিজ্ঞানের কল্যানে ইন্টারনেট নামক জায়গায় সবকিছুর উত্তর পেয়ে যাচ্ছি। শুধু প্রয়োজন একটা স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগের।
লেখার সূচিপত্র
ইন্টারনেট কি?
ইন্টারনেট (Internet) ছোট এই শব্দটুকুর মধ্যেই আছে পৃথিবীর সকল বড় বড় প্রশ্নের উত্তরগুলো। তবে মূল যে ইন্টারনেটের সংজ্ঞাটি, এরকম,
যে সিস্টেমের মাধ্যমে একটি কম্পিউটার অপর একটি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে, বিভিন্ন ধরনের তথ্য আদান প্রদান করে এবং এটি সারা বিশ্বের সকল প্রকার জনগনের জন্য উন্মুক্ত, তাকেই বলা হয় ইন্টারনেট।

এখানে আইপি সিস্টেম এর মাধ্যামে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য আদান প্রদান করা হয়। আইপি ( IP) সিস্টেমের মানে হচ্ছে ইন্টারনেট প্রটোকল (Internet Protocol)। ইন্টারনেটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ WiFi. যদি WiFi সম্পর্কে না জানেন তাহলে, WiFi কি? WiFi কিভাবে কাজ করে লেখাটি পড়তে পারেন।
ইন্টারনেট এর পূর্ণরূপ
ইন্টারনেট এর পূর্ণরূপ হলো ইন্টার কানেক্টেড নেটওয়ার্ক (Inter- Connected Network)। ইন্টার মানে অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ ভিতরের দিকে। এবং নেট মানে হচ্ছে জাল। তাই ইন্টারনেট অর্থ অন্তর্জাল।
মূলত ভেতরের দিকে সংযুক্ত নেটওয়ার্কের বিষয়টিই এখানে তুলো ধরা হয়। ইন্টারনেটকে অনেকেই বলে থাকেন নেট। এটা ইন্টারনেটের সংক্ষিপ্ত আরেক রূপ। এর এক ধরনের বিশেষ রাউটার আছে। যেটাকে গেটওয়ে- ও বলা হয়। আর এই সিস্টেমের মাধ্যমেই সার বিশ্বের সকল কম্পিউটার একটির সাথে আরেকটি যুক্ত থাকে।
ইন্টারনেট কয় প্রকার
বর্তমানে আধুনিক ইন্টারনেট ৬ প্রকার।
- ডায়াল-আপ ইন্টারনেট
- ডিএসএল ইন্টারনেট
- স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- ক্যাবল ইন্টারনেট
- ওয়ারলেস ইন্টারনেট
- সেলুলার ইন্টারনেট
ইন্টারনেট আর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কী এক?
আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব – কে একত্রে গুলিয়ে ফেলি। মানে এই দুইটি শব্দের পার্থক্য ঠিক কী, তা বুঝতে পারি না। একই মনে করি। তবে আদতে এই শব্দ দুইটি এক নয়। ইন্টারনেট হলো এমন এক ধরনের বিষয় যা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ইত্যাদি পরিষেবার কিছু মাধ্যম ব্যবহার করে সারা বিশ্বের সকল কম্পিউটার গুলোকে একত্রে সংযুক্ত করে। আর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হচ্ছে ইন্টারনেট কতৃক প্রদত্ত এক ধরনের সেবা।
ইন্টারনেটের জনক কে?

ইন্টার কানেক্টেড নেটওয়ার্ক এর জনক “ভিনটন গ্রে কার্ফ” ( Vinton Grey Cerf)। ইন্টারনেটের জনক তিনিই। তাকে আধুনিক ইন্টারনেটের জনকও বলা হয়। তার জন্ম 23 জুন 1943 সালে। তিনি ছিলেন আমেরিকার খুব নামি দামি একজন বিজ্ঞানী। তাকে আধুনিক বিজ্ঞানের জনক বলা হয় তবে, তার উপাধি কিন্তু তিনি একা নন, আরেক জনের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। আরেক বিজ্ঞানী, মূলত কম্পিউটার সাইন্টিস্ট। তার নাম রবার্ট কান (Robert Kan)। তার সাথে তিনি এই উপাধি ভাগ করে নিয়েছেন। এটা সত্যিই প্রশংসনীয়।
ইন্টারনেটের ইতিহাস
1960 সাল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তখন অনেক উন্নয়ন এর দিকে যেতে শুরু করেছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা ছিল আরপা (ARPA), অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি ( Advanced Research Project Agency )। পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি ইউনিভার্সিটি ও গবেষণাগার এর মধ্যকার যোগাযোগ স্থাপন করা হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
1962 সালের দিকে গ্লোবাল নেটওয়ার্কের (Global Network) প্রস্তাব করা হয় এমআইটি ( MIT ) এর জন্য। এই কারণে DRAPA অর্থাৎ, Defense Advanced Research Projects Agency একটু একটু করে কাজ শুরু করে গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এর জন্য।
1969 সালে ইন্টারনেট এর প্রথম সূচনা হয়। তবে প্রথম প্রথম তা সেখানেই আবদ্ধ ছিল। তখন থেকে যদিও ইন্টারনেট চালু হয় তবে, পুরো বিশ্বের সীমা ছড়াতে ছড়াতে একটু দেরি হয়ে যায়। 1983 সালে সারা বিশ্বের জন্য ইন্টারনেটকে উন্মুক্ত করা হয়। মজার বিষয় হলো, প্রথম থেকেই এর নাম কিন্তু ইন্টারনেট ছিল না। ইন্টারনেট শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয় 1994 সালে।
নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছিল প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতিতে। তাই তখন এটি আরপানেট ( Arpanet ) হিসেবে পরিচিত ছিল। আর পুরো বিশ্বের জন্য ওপেন করা হয় 1983 সালে। 1989 সালের পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ এর মাধ্যমে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ও গবেষণাগারে আবারো তারা ইন্টারনেটে পরীক্ষা চালু করেছিলেন। আমাদের বাংলাদেশে ইন্টারনেট 1996 সালের দিকে প্রবেশ করে। তখন থেকেই বাংলাদেশে ইন্টারনেটের কল্যান শুরু হয়।
ইন্টারনেট এর ব্যবহার
বর্তমানে আমাদের জীবনে প্রত্যেকটি মুহূর্তে ইন্টারনেটের ব্যবহার। এক মুহূর্তও ইন্টারনেট ছাড়া কল্পনা করা এখন কষ্টসাধ্য। বর্তমান জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইন্টারনেট খনিকটা করে হলেও ব্যবহৃত হচ্ছে। চাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে পাওয়া যাচ্ছে চিকিৎসা- সেবাও! জানা যাচ্ছে পরীক্ষার ফলাফল।
১. ই- লার্নিং
বর্তমানে ইন্টারনেট এর কল্যানে শিক্ষাব্যবস্থায় দারুন এক ধরনের পরিবর্তন এসেছে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি জায়গাতেই ব্যবহৃত হচ্ছে ইন্টারনেট। মাল্টিমিডিয়ার সাহায্যে হাতে কলমে শিক্ষাও ইন্টারনেটের অবদান। আবার, করোনা পরিস্থিতিতে জুম মিটিং এ ক্লাস করতে হয়েছে প্রায় সকলেকেই। আর এটাও ইন্টারনেটের কল্যানের ফলেই। আর চাইলে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পড়াশোনাতে আরও বড় ধরনের উন্নতি আনা যায়।
২. অফিসে
বর্তমান সময়ে মানুষ হয়েছে আধুনিক। এখন একটি বিরাট অফিস তৈরি করা সম্ভব শুধুমাত্র মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারেই। তবে তা ইট – পাথরের নয়, ইন্টারনেটের সাহায্যে তৈরি অফিস। অনপক সময় দেখা গেল একটা প্রয়োজনীয় কাজে সবার একত্র হওয়া দরকার।
তবে এখন কোনো সমস্যার কারনে কেউ যেতে পারবে না। তখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে তিনি সরাসরি অফিসে যুক্ত হতে পারবেন অনলাইনে। আবার অফিসের বিভিন্ন কাজ ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা যায়। ভার্চুয়াল অফিস কি? ভার্চুয়াল অফিসের সুবিধা ও অসুবিধা লেখাটি পড়লে আরও ভাল বুঝতে পারবেন।
৩. ই-কমার্স
ই-কমার্স হলো কেনাকাটা বিষয় ভিত্তিক। আমরা অনেকেই অনলাইন কেনাকাটা সম্পর্কে জানি। বর্তমান সময়ে কেউ চাইলে নিজের বাড়িতে বসে একটি স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটার এর সাহায্যে যেকোন কিছু অর্ডার করে, তা নিজের বাড়িতে হোম ডেলিভারি পেয়ে যেতে পারেন। এমনকি পেমেন্টও করতে পারেন ফোনের সাহায্যেই।
৪. ওয়ার্ল্ড ভিলেইজ
বর্তমানে ইন্টারনেট এর কল্যানে সার বিশ্ব একটি গ্রামে পরিনত হয়েছে। মানে, আপনি কয়েক মুহূর্তে জেনে যাচ্ছেন বিশ্বের কোথায় কি ঘটে যাচ্ছে। এছাড়া, স্যোশাল মিডিয়ার কল্যানেতো পৃথিবীর যেকোন জায়গার মানুষের সাথে যোগাযোগ এবং লাইভ ভিডিও কলে কথা বলতে পারছেন।
৫. টেলি-মেডিসিন
এখন ইন্টারনেট এর মাধ্যমে চাইলে ঘরে বসে যেকোনো অভিজ্ঞ একজন ডাক্তারের কাছ থেকে আপনি সেবা নিতে পারেন, ভিডিও কলের মাধ্যমে। আবার ওষুধও হোম ডেলিভারি নিতে পারবেন।
৬. জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম হিসাবে ইন্টারনেটের ব্যবহার
ইন্টারনেটের সাহায্যে আমরা মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকেই প্রাগৈতিহাসিক অনেক কিছু সম্পর্কে প্রচুর জ্ঞান লাভ করতে পারি। এতে আমাদের জ্ঞানের পরিধির বৃদ্ধি হয়।
৭. পরীক্ষার ফলাফল
আগে পরীক্ষার ফলাফল জানার জন্য স্কুলে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ত। তবে এখন বাড়িতে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজেই পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারা যায়।
৮. ভিডিও
আগে কোনো কিছু সম্পর্কে জানতে হলে অন্য কারো কাছে গিয়ে শুনতে হতো বা অনেক বই পত্র ঘাঁটতে হতো। এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা সম্পর্কে সহজেই অনেক ভিডিও ফোন বা কম্পিউটারে পেয়ে যাওয়া যায়। এমমকি অনেক পড়াশোনার লেকচারও পাওয়া যায় সেখানে।
৯. বিনোদনের মাধ্যম হিসাবে ইন্টারনেটের ব্যবহার
আগে মানুষ সিনামে হলে গিয়ে সিনামা দেখতো কিন্তু বর্তমানে নেটফ্লিক্স কিংবা এরকম নানা রকমের ওটিটি প্লাটফর্মের মাধ্যমে সহজেই ঘরে বসে সিনেমা দেখতে পারছে। এছাড়া, নাটক থেকে শুরু করে বিনোদনের সকল সুবিধাই নিতে পারছে এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
১০. অনলাইনে আয়
বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করার পাশাপাশি ইন্টারনেট এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করতে পারছে। অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করছে। আনলাইনে আয় নিয়ে আমাদের অনেক লেখা আছে সেগুলো পড়তে পারেন।
১১. সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা
ইমেল, স্যোশাল মিডিয়া, মেসেঞ্জিং অ্যাপ কিংবা VoIP সেবার মাধ্যমে এখন যেকোন জায়গা থেকে যেকোন সময় আমরা যোগাযোগ করতে পারছি। এর ফলে আমাদের খরচ যেমন কম হয়, তেমনি যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেক সহজ হয়ে যায়।
ইন্টারনেট ব্যবহারের সুফল ও কুফল

ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা
- দূর্লভ তথ্য সংগ্রহ করা যায়। যেগুলো খোঁজার জন্য আগে দেশ বিদেশ ঘুড়তে হতো।
- খুব অল্প সময়ে যোকোন দেশের খবর পাওয়া যায়।
- চাকরি খোঁজা কিংবা অনলাইনে রিমোটলি যোকোন দেশে চাকরি করা যায়।
- অনলাইনে টিকিট বুকিং কিংবা হোটেল বুকিং দেয়া যায়।
- সহজে তথ্যের আদান-প্রদান করা যায়।
- বিনামূল্যে তথ্য পাওয়া।
- তথ্যের সহজলভ্যতা।
- সকল প্রশ্নোত্তর।
- অনলাইনে সহজেই চিকিৎসাসেবা নেয়া যায়।
- ক্লাউড স্টোরেজ তথা ইন্টারনেটে কম খরচে অনেক বেশি ডাটা রাখা যায়।
ইন্টারনেট ব্যবহারের অসুবিধা
- ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশী।
- ভাইরাস দ্বারা আক্রন্ত হয়ে ডাটা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে। যেমন, কিছুদিন আগে র্যানসমওয়্যার ১৫০ দেশের দুই লাখের বেশি কম্পিউটার আক্রান্ত হয়েছিল।
- পরিবার ও সমাজের প্রতি নেতিবাচক প্রভাব পরে। যেমন, সারাক্ষন স্যোশল মিডিয়াতে পরে থাকার ফলে পরিবারের সাথে ছেলে-মেয়ে কিংবা পিতা-মাতার কথা বার্তা কম হয়। পারিবারিক বন্ধন নষ্ট হয়ে যায়।
- গুজব ও মিথ্যা তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পরে। যেহেতু, তাৎক্ষনিক ভাবে কোন তথ্য যাচাই করা সহজ হয়ে উঠেনি এখনও। তাই, অনেক অসাধু ও খারাপ লোকেরা মিথ্যা ও গুজব খুব দ্রুত ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়।
- প্রতারণার শিকার হতে হয় অনেক সময়। যেমন, অনেকে পণ্য কেনার আগে টাকা দিয়ে দেয় কিন্তু পন্য আর পায় না।
- গবেষণার মান হ্রাস।
- তরুণ-তরুণীরা পর্ণগ্রাফীতে আসক্ত হয়ে পরে।
- নির্ভরযোগ্যতা কম থাকে অনেক সময়।
- তথ্যের অসম্পূর্ণতা থাকে অনেক ক্ষেত্রে।
- শিশু কিংবা প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রেও অতিমাত্রায় ইন্টারনেট ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতিকর। মেজাজ খিটখিটে হওয়া, অবসাদ, ডিপ্রেশন, চোখের ক্ষতি সহ আর অনেক রকম রোগের কারণ। ফেসবুক আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়।
পরিশেষে
আশা করি ইন্টারনেট কি? এ সম্পর্কে বুঝাতে পেরেছি। আর বোঝাই যাচ্ছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জীবন এখন ইন্টারনেট নির্ভর। অসুবিধা একটু থাকলেও সুবিধা প্রচুর। আশা করি, আপনাদের কাছে এই লেখাটি ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কাজের লেখাগুলো