বিবর্তন কি এই প্রশ্ন যদি আপনার মাথায় ঘুরপাক খায় তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য। আজকের এই লেখায় আমরা আলোচনা করবো বিবর্তন কি? কিভাবে হয়? বিবর্তনের আদৌপান্ত।
লেখার সূচিপত্র
বিবর্তন কি?
বিবর্তন এমন একটি তত্ত্ব, যা কিনা, পৃথিবীতে কীভাবে বিভিন্ন প্রজাতির জীবনের মধ্যে বৈচিত্র্য কাজ করে, মানে কিভাবে পৃথিবীতে জীবনের মধ্যে এত বৈচিত্র্য কাজ করে তা ব্যাখ্যা করে। এটি জীববিজ্ঞানের একটি মূল নীতি। বিবর্তন প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কাজ করে, যা প্রাথমিকভাবে প্রাকৃতিক সিলেকশন নামে পরিচিত।
সহজ কথায় বলতে গেলে, “বিবর্তন” এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জীব ও উদ্ভিদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন নিয়ে ব্যাখ্যা করে। বিবর্তন তত্ত্বটি মূলত বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের প্রস্তাবিত একটি ধারণা বা মতবাদ। যা কিনা তার বই The Origin of Species এর মাধ্যমে প্রচার লাভ করে। তবে, এই বিবর্তন তত্ত্ব এখনও বিজ্ঞান দ্বারা প্রমানিত নয়। তার তত্ত্বের মূল উপাদান হলো:
- কাকতালীয়ভাবে প্রাণী বা উদ্ভিদের সৃষ্টি।
- প্রাকৃতিক নির্বাচন / natural selection।
- বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম।
বলে রাখা ভাল, বিবর্তন তত্ত্ব কিন্তু চার্লস ডারউইন প্রথম দেন নি। বরং, প্রাচীন গ্রিসের কিছু নাস্তিক ও বহু ঈশ্বরে বিশ্বাসী বিজ্ঞানীরা এই তত্ত্ব প্রদান করেছিলো। তবে, সেই সময়ের অধিকাংশ বিজ্ঞানীরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করতো, ফলে সে সময় বিবর্তনবাদ টিকতে পারেনি।
প্রকৃতপক্ষে, বিবর্তন বিতর্ক ছাড়া হয় না। ধর্মীয় বিষয়গুলি এক পাশে রেখে যদি, একপাক্ষিকভাবেও বিবর্তনের ধারা নিয়ে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলেও কোন সমাধান পাওয়া যায়না। বিবর্তন কখনোই মৌলিকভাবে প্রমাণিত হয়নি এবং অধিকাংশ বিজ্ঞানীই তা স্বীকার করেছেন।
তবে, বিবর্তনের যারা কট্টর সমর্থক তারা অবশ্যই এটাকে প্রমানিত বলে দাবি করেন, যদিও এর সাপেক্ষে তেমন কোন প্রমান তারা দেখাতে পারে নি। অবশ্য তারা এটাকে প্রতিষ্ঠা করার মূল কারণ হলো, এখানে সৃষ্টি তত্ত্ব অনুপুস্থিত। মহাবিশ্ব কি? মহাবিশ্ব কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে?
বিবর্তন তত্ত্ব
বিখ্যাত জীববিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন বিবর্তন তত্ত্ব এবং প্রাকৃতিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। তাঁর মতে, ‘’On the origin of species by means of natural selection’ পৃথিবী প্রাকৃতিক ইতিহাস সম্পর্কে সমাজের ধারণাকে বদলে দিয়েছে। এই বিষয়টি বিবর্তনের তত্ত্বের জন্য একটি জোরালো যুক্তি সরবরাহ করে এবং প্রাকৃতিক নির্বাচন কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে সমৃদ্ধ করে।
প্রাকৃতিক নির্বাচন এমন একটি প্রক্রিয়া যা কোন প্রাণীকে নতুন কোন প্রজাতিতে বিবর্তিন করতে পারে, যেম: বানর থেকে মানুষে রুপান্তরের বিষয়টি প্রাকৃতিক নির্বাচনেরই ফলাফল।
১৮৫৯ সালে চার্লস ডারউইন ‘On the Origin of Species by Means of Natural Selection’ শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেছিলেন। এতে তাঁর ত্রিশ বছরের গবেষণা ও চিন্তাধারার কথা তুলে ধরেছেন। এই প্রকাশনার মাধ্যমে প্রাকৃতিক বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণা অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে।
বইটি দুটি যুক্তি উপস্থাপন করেছে। প্রথম যুক্তিতে প্রস্তাব করা হয়েছিল যে প্রথমত আমরা যে প্রজাতিগুলিকে যে অবস্থায় দেখছি, তারা পূর্বে এমন ছিলনা, তারা পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে বিবর্তিত হয়েছিল। যেমন: আইস এজের ম্যামথ থেকে বর্তমান হাতির বিবর্তন।
দ্বিতীয়টি হল, প্রাকৃতিক নির্বাচন কিছু কিছু বিবর্তনকে ব্যাঘাত করেছে। যেমনঃ ডায়নোসরের বিলুপ্তি।
ডারউইনই প্রথম ব্যক্তি ছিলেন না যিনি বিবর্তন নিয়ে লিখেছিলেন, কিন্তু তিনিই প্রথম এই তত্ত্বকে যথেষ্ট প্রমাণ ও যুক্তিসহ প্রস্তাব করেছিলেন, যা বিশ্ব লক্ষ্য করে এবং তা পাশ্চাত্য সংস্কৃতি এবং জীবন নিয়ে চিন্তাভাবনাকে চিরতরে পরিবর্তন করে দেয়।
প্যালিওন্টোলজি (জীবাশ্মের গবেষণা) এর একজন পথিকৃৎ জর্জ কুভিয়ার, যিনি পুরানো শিলা, ছোট শিলা এবং জীবাশ্ম পর্যবেক্ষণ করে নথিবদ্ধ করেছেন। তিনি আরও লক্ষ্য করেছিলেন যে ছোট জীবাশ্মগুলি পুরানো জীবাশ্মের চেয়ে বর্তমান প্রজাতির সাথে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ।
তবে তিনি প্রাকৃতিক নির্বাচনের বিবর্তনের তত্ত্বকে পুরোপুরি সমর্থন করে নি। তিনি এই পরিবর্তনকে Catastrophism তত্ত্ব বলে আখ্যা দিয়েছেন। এর মানে হল পৃথিবীর ভূতত্ত্ব গত পরিবর্তনের কারণে সব কিছু পরিবর্তন হয়েছে প্রাকৃতিক নিয়মে না।
ইকোসিস্টেমের ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে পরিবেশের বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে যে সম্পর্ক এবং তাদের প্রতিক্রিয়া এইসব কিছু গুরুত্বপূর্ণ, এবং এই বিষয়গুলি বিবর্তনের মুল মন্ত্র হিসেবে কাজ করে।
যাইহোক, মূল আলোচনায় এবার আসা যাক। বিবর্তনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে: প্রাকৃতিক নির্বাচন, ম্যাক্রো-বিবর্তন এবং মাইক্রো-বিবর্তন। প্রথমে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
প্রাকৃতিক নির্বাচন বা সিলেকশন
প্রাকৃতিক নির্বাচন হচ্ছে বিবর্তনের আসল যন্ত্র বা লিভার যা বিবর্তনকে চালিত করে। এই প্রক্রিয়াটি পরিবেশের প্রাণীগুলোকে সময়ের সাথে সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম করে তোলে। বিবর্তন তত্ত্ব অনুসারে, এটি একটি জীবকে জীবনের সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
আর এই পরিবর্তন যে সবসময় ভাল হয় তা কিন্তু হয়, জেনেটিক মিউটেশন বলে একটি টার্ম আছে, এর মানে হল পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে অনেক প্রাণীর মৃত্যু ঘটে বা প্রতিবান্ধকতা তৈরি হয়। এর মানে হল যে, জীবগুলি যেহেতু মানিয়ে নিতে পারে না, এমন জীবগুলি সাধারণত মারা যায়।
প্রাকৃতিক নির্বাচনের মূল ধারণা:
- সর্বোত্তমদের টিকে থাকা: প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রক্রিয়াটিতে, যারা তাদের পরিবেশের সাথে সবচেয়ে ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারে তারাই বেঁচে থাকে এবং প্রজনন করে তথা বংশ বৃদ্ধি করে।
- অভিযোজনের বৈশিষ্ট্য প্রেরণ: টিকে থাকা প্রাণীরা তাদের অভিযোজিত বৈশিষ্ট্য তাদের সন্তানদের কাছে প্রেরণ করে।
- বৈশিষ্ট্যের ধারাবাহিকতা: যে বৈশিষ্ট্যগুলি বেঁচে থাকার এবং প্রজননের ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করে, সেই বৈশিষ্ট্যগুলি একাধিক প্রজন্ম ধরে বজায় থাকে।
- প্রজাতির বিকাশ: ক্রমবর্ধমান প্রজন্মের মাধ্যমে, অভিযোজিত বৈশিষ্ট্যগুলি প্রজাতির বিকাশে অবদান রাখে।
এছাড়া প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন প্রাণীকে বিভিন্ন পরিবেশে অভিযোজন করতে সহায়তা করে। বার বার অভিযোজন বলছি! অভিযোজন আবার কি? আসলে জীববিজ্ঞানে, অভিযোজন হলো কোন জীবের দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন যা তাকে তার পরিবেশের সাথে আরও ভালভাবে খাপ খেয়ে নিতে সাহায্য করে। এই পরিবর্তনগুলি হতে পারে শারীরিক, আচরণগত বা জৈব রাসায়নিক।
উদাহরণস্বরূপ, স্থলজ প্রাণীদের প্রায়শই দীর্ঘ, পাতলা অঙ্গ থাকে যা তাদের চারপাশে চলাচলে সহায়তা করে। পানিতে, আবার এই ধরনের অঙ্গ থাকলে চলাচল খুব সুবিধার নয়, পানিতে যেহেতু প্রাণীরা ভেসে থাকতে হয় তাই তাদের ছোট চ্যাপ্টা পাখনা থাকে। বিবর্তন এই ভাবেই জীবনের অনেক দিককে এইভাবে সম্বোধন করে।
২. মাইক্রো-বিবর্তন
মাইক্রো-বিবর্তন হলো জীবের প্রজাতির মধ্যে ছোটোখাটো, ক্রমবর্ধমান পরিবর্তন যা সময়ের সাথে সাথে ঘটে। এই পরিবর্তনগুলি জিনগত (DNA) বৈচিত্র্যের মাধ্যমে ঘটে, যা প্রাকৃতিক নির্বাচন, জিনগত প্রবাহ, মিউটেশন এবং পুনর্মিলন প্রক্রিয়া দ্বারা হয়ে থাকে।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, এই যেমন বেশী বেশী এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে থাকলে একসময় আমাদের শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো আস্তে আস্তে শক্তিশালী হয়ে উঠে বলে এন্টিবায়োটিক অষুধ আর কাজ করে না। এছাড়া, শীতল আবহাওয়ায় বসবাসকারী কুকুরের সাধারণত ঘন লোম থাকে, আবার গরম আবহাওয়ায় বসবাসকারী কুকুরের জাতগুলি পাতলা লোম থাকে।
মাইক্রো-বিবর্তন নিয়ে খুব একটা বির্তক নেই। মাইক্রো-বিবর্তন প্রায় সবাই সমর্থন করে।
৩. ম্যাক্রো-বিবর্তন
সবচেয়ে বেশী বির্তক মূলত এই ম্যাক্রো-বিবর্তন নিয়েই। যেহেতু এটা প্রমানিত নয়। আর বিজ্ঞান প্রমান ছাড়া বিশ্বাস করে। তাই এটা এখনও থিউরিতে সীমাবদ্ধ।
Macro-Evolution হল এক ধরনের উদ্ভিদ বা প্রাণী থেকে অন্য ধরনের প্রাণীতে রূপান্তর। ম্যাক্রো-বিবর্তনের মধ্যে একটি জীবের মৌলিক ফাংশনে বড় বা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন জড়িত। এটি কোন একক জীবের জীবনে ঘটতে পারে না, তাই এটি শুধুমাত্র জেনেটিক মিউটেশনের বা প্রতিবন্ধকতার একটি সিরিজের ফলাফল হতে পারে।
যেমনঃ রং টার্ন নামের একটি হলিউড সিনেমায় ফ্যাক্টরির তেজস্ক্রিয়তার কারণে বিকলাঙ্গ বাচ্চার জন্ম নেয়, যারা দেখতে কিছুটা মানুষের মত হলে ও তাদের হিংস্র প্রাণীদের মত ধারালো দাঁত আছে, এবং তারা মানুষের মাংস খায়, এদেরকে কেনিবাল বলা হয়। এই ধরনের বিষয় গুলি ম্যাক্রো-বিবর্তনের অন্তর্ভুক্ত। সিনেমার কাহিনী বলছি, বাস্তব কাহিনী মনে করে নিয়ে না।
আরেকটি উদাহরণ হল, জেনেটিক বিচ্যুতিসহ কিছু ব্যাকটিরিয়া এন্টিবায়োটিকের থেকে ভালভাবে বেঁচে যায়, তবে অ্যান্টিবায়োটিকগুলি চলে যাওয়ার পরে তারা দ্রুত মারা যায়। ম্যাক্রো-বিবর্তন হল বিবর্তনবাদীদের ব্যাখ্যা যে কিভাবে পৃথিবীতে কোটি কোটি বৈচিত্র্যময় প্রজাতি এসেছে – এক প্রকার থেকে অন্যদের মধ্যে বৈচিত্র্য স্থানান্তরিত হয়েছে। বিবর্তনবাদীদের মতে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে, ডিম পাড়া প্রাণী থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণী বিবর্তিত হয়েছে।
অভিযোজন ও বিবর্তনের মধ্যে পার্থক্য
অভিযোজন | বিবর্তন | |
---|---|---|
সংজ্ঞা | একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে বেঁচে থাকার এবং প্রজনন করার জন্য জীবের বৈশিষ্ট্যগুলিতে যে পরিবর্তন ঘটে তাকে অভিযোজন বলে। | দীর্ঘ সময় ধরে জীবের প্রজাতির যে জিনগত বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটে তাকে বিবর্তন বলে। |
সময়সীমা | অভিযোজন তুলনামূলকভাবে দ্রুত ঘটে, কয়েক প্রজন্মের মধ্যেও দেখা যেতে পারে। | বিবর্তন হাজার হাজার বছর থেকে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ধীরে ধীরে ঘটে। |
উদাহরণ | মরুভূমির উদ্ভিদের কাঁটা: অতিরিক্ত পানি হ্রাস করে এবং তীব্র রোদ থেকে রক্ষা করে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় বসবাসকারী প্রাণীর ঘন লোম: শরীরের উষ্ণতা ধরে রাখে। কীটপতঙ্গের প্রতিরোধী ফসল: কীটপতঙ্গ প্রতিরোধী জিনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। | জিরাফের দীর্ঘ ঘাড়: লম্বা ঘাড়যুক্ত জিরাফ উঁচু গাছের পাতায় পৌঁছাতে পারে, যা খরা সময়ে তাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। সময়ের সাথে সাথে, লম্বা ঘাড়ের জিন আরও বেশি দেখা যায়। হাতি থেকে তিমির বিবর্তন: জীবাশ্মের রেকর্ড দেখায় যে হাতি স্থলজীবী প্রাণী থেকে বিবর্তিত হয়েছিল যা সময়ের সাথে সাথে সমুদ্রে বাস করার জন্য অভিযোজিত হয়েছিল। মানুষের বিবর্তন: প্রাচীন প্রাইমেট থেকে বিবর্তিত হয়েছে, হাঁটার, কথা বলার এবং জটিল চিন্তাভাবনার ক্ষমতা অর্জন করেছে। |
মূল পার্থক্য:
- সময়সীমা: অভিযোজন দ্রুত ঘটে, বিবর্তন ধীরে ধীরে ঘটে।
- প্রভাবের পরিধি: অভিযোজন ব্যক্তিগত বা জনগোষ্ঠীর স্তরে ঘটে, বিবর্তন প্রজাতির স্তরে ঘটে।
- কারণ: অভিযোজন প্রায়শই পরিবেশগত চাপের কারণে হয়, বিবর্তন জিনগত বৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং অন্যান্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চালিত হয়।
উপসংহার
এই ছিল আজকে বিবর্তন কি ও বিবর্তনের আদৌপান্ত, আমরা চেষ্টা করেছি চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদকেও সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার। কোন বিষয় নিয়ে সন্দেহ থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।